আধুনিক বাংলা ছবির যুগে ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন মরুদ্যানের মতোই
সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল পরবর্তী পর্যায়ে অনেক ভাল ছবিই তৈরি হয়েছে
- Total Shares
মূল স্রোত কিংবা বাণিজ্যিক ধারার ছবি অথবা গতানুগতিকতা ছেড়ে অন্য ভাবনার সিনেমা – যে ভাবেই দেখা যাক না কেন বাংলা সিনেমার বিষয় বা আঙ্গিক নান্দনিক ভাবে আকর্ষণীয় করে তোলার প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক সিনেমা করিয়েদের গভীর ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির বাইরে বাংলা সিনেমাকে গড়পড়তা থেকে সরিয়ে, অভিনব ও নান্দনিক ভাবে নির্মাণ করার চেষ্টাও তেমন ভাবে চোখে পড়ে না।
সাড়া জাগিয়েছিল বাঞ্ছারামের বাগান ছবিটি। (ছবি: ইউটিউব স্ক্রিনগ্র্যাব)
গত দু-তিন দশকে এমন কোনও সিনেমা বা নির্মাতার কথা বলা যাবে না যাঁর প্রচেষ্টা আমাদের বিস্মিত করেছে, যাঁর কাজ আমাদের ভাবনাকে বিপন্ন করেছে। স্বভাবতই খুব সৎ এবং গভীর ভাবেই বাংলা সিনেমা ঘিরে এই প্রশ্ন ওঠে; তা হলে কি সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল পরবর্তী পর্যায়ে কোনও ভাল ছবি নির্মিত হয়নি?
মরুর আকাশ
উত্তরে সরাসরি না হয়তো বলা যায় না। তবে উত্তর ইতিবাচক নয়। বাংলা সিনেমাশিল্প মাধ্যমের অন্দর-বাহির কোনও মহল থেকেই ইতিবাচক সাড়া মেলে না। অনেক ছবি বিনোদনধর্মী সিনেমার চিরাচরিত কাহিনির উপর নির্ভর না করে বিষয়বস্তুকে বাস্তবসম্মত অথবা সমস্যাভিত্তিক করে তোলার চেষ্টা করে ছবি তৈরি হওয়ার মধ্যে কোথাও সিনেমার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না। ছবির আগে পরে কাহিনিচিত্র কথাটিই রয়ে যায়।
ছবির নির্মাতা নিজেও ‘অন্য গল্প; অন্যভাবে বলা গল্প’ কথাটি বলতে ভুল করেন না। অনেক ছবি অন্যরকম বা আলাদা বলে প্রচারিত হওয়ার পরও দেখা যায় ছবিটির প্রযুক্তিগত কলাকৌশল সৃষ্টিশীল, নান্দনিক অথবা শিল্পসম্মত হয়ে ওঠেনি। ছবিটি নির্মাণে সিনেমা ভাবনার যে পদক্ষেপ তা হয়তো ধারাবাহিক বা গতানুগতিক নয় কিন্তু শেষপর্যন্ত তা সিনেমাই হয়ে ওঠেনি।
একা টেলিগ্রাফ
আসলে সিনেমা যে নির্মাণ ও নান্দনিক দু’দিক থেকেই অন্য ভাষার এবং অন্য ভাবনার সেটাই বাংলা সিনেমার সাম্প্রতিক পরিচালকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ছবির মালমাশলা নিয়ে তাদের অনেক বেশি আগ্রহ। ছবির উপাদান, উপকরণ ঘিরে তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি। ছবিকে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয়, উত্তেজক, হাসি-ঠাট্টা-তামাশাময় করে তোলার জন্য যতটা প্রচেষ্টা, তার সামান্যতম নেই সিনেমার ভাষায় নিজের কথা বলায়। তার চেয়ে ছবিকে বক্তব্যধর্মী করতে গিয়ে, অভিজ্ঞতার বাইরে গিয়ে; জানা বোঝার সীমা ছাড়িয়ে বক্তব্য-বাস্তব-বিষয় তালগোল পাকিয়ে বিনোদনমূলক সিনেমার আদলে জাঁকজমকপূর্ণ ও সুখকর উপাদানের মাধ্যমে কাহিনি উপস্থাপন এবং সেটাকে অন্য ভাবনা অন্য সিনেমা ইত্যকার তকমা সেঁটে দেওয়ার চেষ্টা।
অন্য ঘর ভিন্ন স্বর
সাম্প্রতিক কালের বাংলা সিনেমার ফর্ম নান্দনিক ভাবে যথেষ্ট উদ্ভাবনী, একথা জোর দিয়ে বলা যায় কি? তৃতীয় বিশ্বের কিংবা অন্যসব দেশে যখন নতুন সিনেমার প্রসারে সেখানকার সিনেমা নির্মাতারা তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির চিন্তাভাবনা রীতিনীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাস্তববাদী-বস্তুবাদী-অন্য বা ভিন্ন ইত্যাদির বিরোধিতা করে নতুন নির্মাণপদ্ধতির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ছবি তৈরি করছেন তখন বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে কি ঘটছে?
আতঙ্ক-ও ছিল সাড়া জাগানো ছবি। (ছবি: ইউটিউব স্ক্রিনগ্র্যাব)
সম্পর্কের গল্প, তাতে নানা আলো ছায়া মাখাচ্ছেন পরিচালক, আবার তাকেই তিনি বলছেন অন্যরকম ভাবনার গল্প এবং সিনেমা। মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্তের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমস্যা বা দুঃখ বিলাসিতা যেমন বিগত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকে বিষয় হিসেবে বাংলা সিনেমার কেন্দ্রে থেকেছে তেমনি অন্য হোক আর ভিন্ন হোক গল্প বলা বা দেখানো কিন্তু বাংলা সিনেমায় নতুন করে হাজির হয়েছে। বাংলা সিনেমার নতুন যুগের পরিচালকরা একাধারে ড্রয়িং রুমকে যেমন কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছেন তেমনই গল্প বলা বা দেখানোকে করেছেন ধ্যান।
প্রাণে নেই গান
বিষয় অনুসারে গত দশ-বিশ বছরের বাংলা সিনেমার একটি তালিকা তৈরি করলে দেখা যাবে দু’টি বিবাহিত মানুষের অন্য সম্পর্ক এবং তাঁদের মনোগত সমস্যা কিংবা দু’টি মানুষের একান্ত নিজেদের সম্পর্কজনিত সমস্যার গল্প বা কাহিনিই হল বাংলা সিনেমা। অন্যথা কি ঘটেনি?
অবশ্যই। কিন্তু সে যাই ঘটুক না কেন বাংলা সিনেমার সেই মূল্যবান বা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-ভাবনা দর্শক বা সিনেমাপ্রেমীরাই মনে রাখতে পারেননি। বাংলা সিনেমা দুনিয়ায় যেমন ঘটেনি সমাজ সান্নিধ্য, জীবনঘনিষ্ঠ, শিল্পসম্মত ছবি তৈরির রেওয়াজ তেমনই প্রতিবাদী সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে নতুন একটি চলচ্চিত্র আন্দোলনেরও কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
ফলে প্রতিদিনকার জীবনের রাজনীতি কিংবা সামাজিক সমস্যার বিশ্লেষণ ও সমালোচনাধর্মী বাংলা ছবির কথা কল্পনা করাই দুর্লভ হয়ে গিয়েছে। সমাজ-জীবন বা রাজনৈতিক সমালোচনার এই অনুপস্থিতি বাংলা সিনেমার সবথেকে দুর্বল দিক।
অর্কিডে বনফুল
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমা নির্মাতারা যারা নিজেরাই নিজেদের সিনেমার গায়ে অন্য ভাবনা কিংবা অন্য সিনেমার স্টিকার সেঁটে দেন তারা মাঝেমধ্যে ‘কলকাতাকে চমকদার আর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য একদিকে রাস্তার ধারে ফুলগাছ পোঁতা হল। অন্যদিকে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের জঞ্জাল হিসেবে সাফ করে দেওয়া হল’। কিংবা ‘ড. বিনায়ক সেনের মতো লোককে যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়, তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করতে পারি?
একান্ত আপন ছবির একটি দৃশ্য। (ছবি: ইউটিউব স্ক্রিনগ্র্যাব)
একটা পচে যাওয়া সিস্টেম- এ ধরণের সংলাপ ব্যবহার করে থাকেন। দর্শক যা দেখে-শুনে হাততালি দেবেন সেকথা তাঁদের জানা। কিন্তু একে কি রাজনৈতিক বক্তব্য কিংবা সচেতনতা বলব? কখনোই না। তা হলে হঠকারিতা বা পরিমার্জিত জোচ্চুরি?
অকালের ঝরা পাতা
‘আমাদের দেশের আশি ভাগ মানুষের কাছে গণতন্ত্র মানে শুধুই ভোটাধিকার। বাকি অধিকারগুলো আপনাদের পকেটে’। এ ধরনের সংলাপ কি স্রেফ দর্শকদের হাততালি কুড়নোর জন্যই?
বস্তুতপক্ষে এ জাতীয় কথাবার্তা প্রতিক্রিয়াশীল এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাতকেই শক্তিশালী করে। সিনেমার নান্দনিকতা কিংবা নির্মাণশৈলী না জানা-বোঝা আর সমসাময়িক সমাজ রাজনীতির সমস্যা থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকা এক ব্যাপার নয়। সমাজ-রাজনীতি-সাহিত্য-শিল্প কোনওটাই সিনেমার বাইরের বিষয় নয়, সেই ঘাটতি টিকিয়ে রেখে চিন্তাশীল সিনেমা তৈরি করা যায় কি?
বাণিজ্যিক ছবির মূল নীতি প্রত্যাখ্যান করে প্রথাবিরোধী ছবি তৈরি করতে হলে সেই চলচ্চিত্রকে কখনোই গতে বাঁধা ফ্রেমে আটকে রাখা যায় না। বাংলা সিনেমাকে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন প্রমুখ যেখানে ছেড়েছিলেন, তারপর অলিগলি অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। প্রযুক্তি আধুনিকায়ন হয়েছে। বাজেট বেড়েছে। কিন্তু শিল্পচর্চা? ওঁরা যে মহীরুহের বীজ বুনেছিলেন তা জলাভাবে মৃতপ্রায়। কিন্তু মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সব সম্ভাবনাই ছিল বাংলা সিনেমার জগতে।
এল বসন্ত
সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল পরবর্তী বাংলা সিনেমার মরুভূমিতে ঋতুপর্ণ ঘোষকে মরূদ্যান বলতে হবে। যিনি চটকদার ছায়াছবির প্রহেলিকা থেকে অনেকটা সরে মধ্যবিত্ত জীবন, নারীর অবস্থান কিংবা সামাজিক যৌন অবদমনের জায়গাগুলি তুলে আনার চেষ্টা করেছিলেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ (ফাইল ছবি: এপি)
বিনোদনের চটকের পরিবর্তে মানুষের কথা, মনোজগতের কথা বলতে চেষ্টা করতেন। চলচ্চিত্রের ভাষা যে তাঁর আয়ত্তাধীন সেটাও তাঁর ছবির দৃশ্য রচনা থেকেই বোঝা যেত। ছোটবড় দৃশ্যের মাধ্যমে তিনি সৃষ্টি করতেন দ্বন্দ্ব। সামান্য একটি ইঙ্গিতে খুলে যেত আপাত গোপন মনোজগতের দরজা। দৃশ্যের পর দৃশ্য তার শব্দকল্প ধরে দর্শক চলে যেতে পারতেন ভাবনার সিঁড়িতে। পৌঁছে যেতে পারতেন মানবিক অনুভূতির শিখরে।
সব চরিত্র কাল্পনিক
তাঁর ছবিতে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের বাইরের সম্পর্ক, নারীর ক্রমশ নারী হয়ে ওঠা- এসবই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উঠে এসেছে। ঋতুপর্ণর সিনেমা দর্শককে আন্দোলিত করতে পেরেছিলেন। তাদের মস্তিষ্কে আলোড়ন তুলতে পেরেছিলেন। প্রচলিত ধারাকে তিনি অন্য এক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাইতেন; আর সেই ছবিটাই তিনি দেখাতে চাইতেন।
গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তিনি বাঙালি শিক্ষিত সমাজকে ফের প্রেক্ষাগৃহে ফেরাতে পেরেছিলেন। মধ্যবিত্ত বাঙালি তাঁর ছবিতে খুঁজে পেয়েছিল তাদের চেনা ছবিকেই এক অচেনা আঙ্গিকে। ওই চেনা গল্পের পরিসরে তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চার ওজস্বিতায় লুকিয়ে রাখা, এড়িয়ে চলার ভাষা, অবহেলার ছবিকে যখন দর্শকদের সামনে এনে হাজির করতেন, তখন তাঁর সেই সবকিছু তৈরি করত এক সামাজিক স্বর। যে-স্বরের স্পর্ধিত কণ্ঠ আজ মেনস্ট্রিম সিনেমার বিষয়।
উৎসব ছবির একটি দৃশ্য। (ছবি: ইউটিউব স্ক্রিনগ্র্যাব)
বাংলা ছবির এই আনকোরা সময়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ নিঃসন্দেহে আধুনিক এবং অন্য। তিনি নিজেই নিজের ব্র্যান্ড। লেখক, পরিচালক, অভিনেতা সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সফল ও বিতর্কিত নায়ক। বাঙালির মনোজগৎকে সেলুলয়েডে বন্দি করে তিনি বাংলা ছবিকে পৌঁছে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে।
ভাঙা নৌকার দাঁড়
গত শতাব্দীর নব্বই দশক থেকেই বাংলা সিনেমা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে। তার আগে আশির দশকের সঙ্কট ছিল আরও তীব্র। সেই সময় বাংলা সিনেমা উতরেছিল অঞ্জন চৌধুরী, সুজিত গুহ, প্রভাত রায়, হরনাথ চক্রবর্তী, বীরেশ চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সাহা প্রমুখের ম্যাটিনি মেলোড্রামার হাত ধরে। আদ্যোপান্ত ফ্যামিলি ড্রামার মধ্যে প্রযোজক পরিচালক কোনও ভান বা ভনিতা রাখার চেষ্টা করেননি।
লক্ষ্য স্থির থাকায় বাণিজ্যেও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বরং কলাকুশলীরা খেয়েপরে বেঁচেছেন, বাঁচিয়েছেন বাংলা সিনেমার জগৎ।
মেঘের গায়ে রোদ
অঞ্জন চৌধুরী তাঁর ছবিতে ড্রয়িং রুম, গার্ডেনের বদলে আনলেন বাঙালি বাড়ির রান্নাঘর, ঠাকুরঘর, বসার ঘর প্রভৃতি। তুলে ধরলেন মা, কাকিমা, জেঠিমা, পিসিমা, মামা, কাকা, বড়দা, বৌদিদের নিয়ে যে সংসার, তাঁদের সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্নার নিখাদ বাংলা কাহিনি।
গুরুদক্ষিণা ছবির একটি দৃশ্য (ছবি: ইউটিউব স্ক্রিনগ্র্যাব)
ছবিতে মদ, পার্টি, যৌনতার দৃশ্য এমনকি ডুয়ার্স-সিকিম-জঙ্গল-বন বাংলো নয়। চরিত্ররা সবাই কথা বললো বাংলায়। কিন্তু তাতেই একটা ছবি যে বাণিজ্য দিয়েছে এখনকার পাঁচটা ছবি মিলে তার অর্ধেক বাণিজ্য দিতে পারে না। শত্রু, ছোট বউ, গুরুদক্ষিণা-র হাত ধরে বাংলা ছবির মরা গাঙে বান এসেছিল। প্রেক্ষাগৃহে বহুযুগ পর আবার হাউসফুল বোর্ড দেখা গেল। ফের বাংলা ছবির জন্য লগ্নি করতে উৎসাহ দেখা দিল।
হেমন্তে বৃষ্টির গান
চলে যাওয়া শতকের আটের দশকেই মৃণাল সেনের আকালের সন্ধানে, খারিজ, সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গৌতম ঘোষের দখল, উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর চোখ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ফেরা, তপন সিংহের বাঞ্ছারামের বাগান, আদালত ও একটি মেয়ে, আতঙ্ক, তরুণ মজুমদারের দাদার কীর্তির পাশাপাশি প্রভাত রায়ের প্রতিদান, সুজিত গুহর অমর সঙ্গী, বীরেশ চট্টোপাধ্যায়ের একান্ত আপন, হরনাথ চক্রবর্তীর মঙ্গলদীপ বক্স অফিস হিট করল।
তার আগের বেশ কয়েক বছর বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অবস্থা ভয়াবহ খারাপ ছিল। লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কি আমূল পালটে গেল? না, তবে বদলাল।
বলতে বাধা নেই সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই অন্য ভাবনার ছবিতে কেউ কেউ লগ্নি করার সাহস পেলেন। কিন্তু তথাকথিত ‘আর্ট ফিল্ম’ সেই অন্য ভাবনাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি- এই অভিযোগ বাংলা সিনেমার বাণিজ্যিক ধারা থেকে অন্য ভাবনার সিনেমা নির্মাতা এমনকি কুশীলবদেরও।
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন: বাংলা ছবি আধুনিক হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা কোথায়?