তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগিশ মহাশয়কে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়
ঊনবিংশ শতাব্দীতে কালীপুজো জনপ্রিয়তা লাভ করে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাঙালী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায়
- Total Shares
চামুন্ডাচর্চিকা কালীর পূজা বাংলা ও বহির্বঙ্গে প্রাচীন উৎসব হলেও বর্তমান কালে এই পূজা বেশ জনপ্রিয় । সপ্তদশ শতকের নবদ্বীপের প্রথিতযশা তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগিশ মহাশয়কে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দী তে এই পূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে থাকে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাঙালী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায়। অনেকসময়, কালীপূজা ও দীপাবলি বা দেয়ালি একই দিনে অনুষ্ঠিত হলেও ইতিহাস বলছে দুটি পূজার ধারণা পৃথক । দীপাবলি বা দেয়ালি সারা পৃথিবীর আলোর উৎসব হিসাবে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা পালন করে থাকেন। কালীপূজা মূলত মা দুর্গার বিশেষ রূপ যা মহাদেবী-মহাকালী রূপে অশুভ শক্তির বিনাশ ও শান্তি স্থাপনের কামনায় মঙ্গলময় এই আলোক উৎসব পালিত হয় গোটা রাজ্য জুড়েই।বিশেষত কোলকাতার কিছুটা হলেও রমরমা বেশি দেখা যায় কিছু বিখ্যাত পূজায় যেমন কালীঘাট এর পূজা , লেক কালীবাড়ির পূজা, নিস্তারিণী কালীবাড়ি , পুটে কালী বাড়ি, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, দয়াময়ী কালীবাড়ি, আনন্দময়ী কালীবাড়ি এছাড়াও বিভিন্ন প্রান্তে বিখ্যাত অনেক পূজা হয়ে থাকে ।