দুর্গাপুজোর শেষদিনে বিজয়াদশমী, তারই কয়েকটি মুহূর্ত চিত্রসাংবাদিকের চোখে
পুজোর নয়, তবে উৎসবের অঙ্গ হয়ে উঠেছে ধুনুচিনাচ, সিঁদুরখেলা
- Total Shares
মন্ত্রোচ্চারণ, শুদ্ধচিতে প্রার্থনা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়া... নবমী পুজোয় সন্ধ্যারতি শেষ হতেই বাঁধ ভাঙে উল্লাসের। কোথাও হয় ধুনুচি নাচ, কোথাও বিজয়ার সকালে সিঁদুরখেলা।
ধুনুচি নাচ যাঁরা নাচেন তাঁদের অনেকেরই পেশাগত দক্ষতা নেই, তবুও ঢাকের তালে একজন নাচতে শুরু করলে পা মেলান অনেকে। ভক্তি আর উচ্ছ্বাস মিলেমিশে যায় ধুনো আর গুগ্গুলের গন্ধে।
ধুনুচি নাচ
ধুনুচি নাচ
ধুনুচি নাচ
ধুনুচি নাচ
সিঁদুরখেলাও যে পুরোপুরি পুজোর অঙ্গ, তা নয়। তবে এওস্ত্রীরা বিজয়াদশমী তিথিতে মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়। একে অপরের সীমন্তে পরিয়ে দেন সিঁদুর, অনেক সময় সিঁদুরমাখা আঙুল সস্নেহে বুলিয়ে দেন গালে। সিঁদুরকৌটো হাতে এ যেন এক অকাল দোল, শুধু লাল রঙের উৎসব।
এই উৎসবে পোশাকের কোনও বিধিনিষেধ নেই, ধরাবাঁধা নিয়মও নেই। তবুও লালপাড় সাদা শাড়িই যেন এই উৎসবের পোশাক হয়ে উঠেছে।
বাগবাজারে সিঁদুর খেলা
বাগবাজারে সিঁদুর খেলা
বাগবাজারে সিঁদুর খেলা
দাঁ বাড়ির পুজো এ বার ১৭৯ বছরে। সেই বাড়িতে বিদায়বেলায় দেবীকে বরণের ছবি।
দাঁ বাড়িতে বরণ
দাঁ বাড়িতে বরণ
কোথাও কোথাও নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয় আজও। সেই নীলকণ্ঠই নাকি কৈলাসে গিয়ে দেবাদিদেবকে বার্তা দেয়, দেবী ফিরছেন বাপেরবাড়ি থেকে। আইন আর রীতির দ্বন্দ্বে এখন মাটির নীলকণ্ঠ পাখি ব্যবহার করা হয়। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা।