পাঁচ তরুণীর জীবনের টানাপোড়েন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে "ক্রিসক্রস''
এই পাঁচ নারীর পাঁচ রকম গল্প অবশেষে মেশে এক বিন্দুতে
- Total Shares
নারী ক্ষমতায়নের কথা যদি বলি তাহলে দক্ষ পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তর সাম্প্রতিক বাংলা ছবি 'ক্রিসক্রস' খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা। ছবিতিতে যে পাঁচজন নারীকে দেখানো হয়েছে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে এসেছে যাঁদের সমস্যাগুলি খুব আলাদা আলাদা। ছবির পাঁচজন নারী বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থান থেকে উঠে এসেছে। এই পাঁচজন মহিলার জীবনের লড়াইগুলো একেবারে আলাদা। এঁরা সবাই নিজেদের পরিস্থিতির শিকার। আমার মন হয় ছবিটা যেখানও মানুষকে খুব উদ্বুদ্ধ করবে, বিশেষ করে মহিলারা এই ছবিটির সঙ্গে নিজেদের অনেক মিল খুঁজে পাবেন। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, জীবনে কিছু পাওয়ার লক্ষ্য এবং নিজস্ব মতামত নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি। এই পাঁচ নারীর পাঁচরকম গল্প অবশেষে মেশে এক বিন্দুতেই।
"ক্রিসক্রস'' ছবির একটি দৃশ্য
এটি একটি নারীপ্রধান বাংলা ছবি। ছবির পাঁচজন কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন - ইরা, সুজি, মিস সেন, রূপা ও মেহের। আমি ছাড়াও ছবিটির অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার এবং নুসরাত জাহান। এ ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ চক্রবর্তী প্রমুখ। সিনেমাটি স্মরণজিত চক্রবর্তীর উপন্যাস ক্রিসক্রস অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন আর একজন সফল পরিচালক মৈনাক ভৌমিক। ছবিটিতে মোট চারটে গান আছে।
"ক্রিসক্রস'' ছবির একটি দৃশ্য
আমি ছবিতে 'মিস সেন'-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। মিস সেন হলেন একজন খুব সফল নারী, কিন্তু তবুও যেন ভেতরে ভেতরে সে খুব একা। পেশা জীবনে উপরে উঠলেও মিস সেন সামাজিক জীবনে একাকিত্বে ভোগেন। তিনি নিজের পরিবারকেও হারিয়েছেন। আসলে তার এই চারিত্রিক রূঢ়তা তাঁর হতাশার প্রতিফলন মাত্র।
"ক্রিসক্রস'' ছবির একটি দৃশ্য
ব্যক্তিগত ভাবে একজন নারীর কী ধরণের সমস্যা হতে পারে কিংবা তাঁদের যে বহু সামাজিক এবং পরিস্থিতিগত ভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় সেই বিষয়টা আমি আলাদা করে ভাবতে চাইনি, কারণ আমি ঠিক সেই ভাবে মহিলা বা পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করে ব্যাপারটা দেখতে চাই না, একজন মানুষের ব্যক্তিসত্ত্বা আমার কাছে অনেক বড়। পাশাপাশি আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে বহু জায়গায় আমরা মহিলাদের অধিকারের কথা তাঁদের কথা বলে থাকি বটে কিন্তু তবুও অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের নানা বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। তাই সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে এই সিনেমাটি খুবই প্রাসঙ্গিক।
"ক্রিসক্রস'' ছবির একটি দৃশ্য
আমার মনে হয় এই সিনেমাটি যে বার্তা বহন করছে সেটা হল জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই হেরে না যাওয়া বা শেষ অবধি লড়াই করার আগেই অস্ত্রত্যাগ করা উচিত নয়।
আমার পরবর্তী ছবিটি একটি বাংলাদেশের ছবি। নাম 'দেবী'। এই ছবিটির প্রযোজক আমি নিজেই।