টানটান উত্তেজনা সঙ্গে রোম্যান্স ও থ্রিলারে ভরা ছবি 'দৃশ্যান্তর'
আমি কখনও কোনও থ্রিলার ছবিতে অভিনয় করিনি
- Total Shares
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বাংলা ছবি 'দৃশ্যান্তর'। ছবির পরিচালক রানা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার পরিচত বহুদিনের।
'দৃশ্যান্তর' কথাটির অর্থ হল 'অন্য দৃশ্য'৷ এটি একটি থ্রিলার ছবি।
আমি কখনও কোনও থ্রিলার ছবিতে অভিনয় করিনি তাই ছবির কাহিনীটি শুনেই আমার বেশ ভালো লেগেছিল।
আমার বিপরীতে ছবিতে অভিনয় করেছেন ভিকি দেব। এক সময় আমিও সিনেমার জগতে একদম নতুন ছিলেন। আমি নবাগতা ছিলাম বলে তখন অন্যান্য অভিনেতা বা পরিচালকরা আমার সঙ্গে ছবি করতে ভয় পেয়েছিলেন এমনটা একেবারেই নয়। তখন অভিনেতা জিৎ আমার সঙ্গে বেশ কয়েকটা ছবিতে অভিনয় করেছিল, জিৎ তখন সুপারস্টার। ঠিক একই ভাবে আমারও ভিকির সঙ্গে অভিনয় করতে কোনও ভয় বা অসুবিধা কিছুই হয়নি। তাছাড়া ভিকির মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস অভিনেতা হিসেবে ও নিশ্চয়ই নাম করবে।
অভিনয় জীবনের গোড়া থেকেই মূলস্রোতের ছবিই আমি বেশি করেছি। পাশাপাশি আমি 'গয়নার বাক্স' ও 'বুনো হাঁস'-র মতো ছবিতে একেবারে অন্যরকম চরিত্রে অভিনয় করেছি। দর্শক সেসব ছবি খুব পছন্দও করেছেন। আমার মনে হয় একজন দক্ষ অভিনেতা হয়ে উঠতে গেলে সব ধরণের চরিত্রেই অভিনয় করা উচিত।
এবার একটু ছবির গল্পটা বলি, তবে সবটা বলব না। নাট্য পরিচালক অসিত (দেবশঙ্কর) নিজের নাটকের দলকে প্রচারে আনার জন্য তাঁর পরবর্তী নাটকে নায়িকা হিসেবে সমস্ত নামি থিয়েটার অভিনেত্রীদের বাদ দিয়ে বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপসাকে(শ্রাবন্তী) নেন। তাতে রূপসা আপত্তি করে না। এবারেই হয় সমস্যার সূত্রপাত, কারণ রূপসাকে ঘিরে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পাশাপাশি ব্যাপারটা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ দেখা দেয় থিয়েটার দুনিয়ার মানুষের মধ্যে। এদিকে আবার একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হয়ে নিজেকে থিয়েটারের দুনিয়ায় প্রমাণ করার তাগিদটাও রূপসাকে সব সময় তাড়া করে বেড়াতে থাকে। ছবিতে রুপসার স্বামীর (অর্ঘ্য)-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিকি। অর্ঘ্য কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন। একে দলের মধ্যে তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সমস্যা অন্যদিকে স্বামী কাছে নেই, ফলে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন রূপসা। ইতিমধ্যে ঘটে যায় আর একটা ঘটনা। রূপসা যেই ফ্ল্যাটে থাকে তার ঠিক উপরের ফ্ল্যাটেই ঘটে যায় একটি হত্যাকাণ্ড। খুনের তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আসেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার৷ তদন্তে অনেক অজানা কথা জানতে পারেন তিনি।
'দৃশ্যান্তর'
ছবিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে টানটান উত্তেজনা, রোম্যান্স ও থ্রিলার। যদিও ছবিতে প্রেম, ইর্শা, ঘৃণা, রহস্য সবকিছুই বর্তমান।
'দৃশ্যান্তর'-এ আমি ছাড়াও অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেবশঙ্কর হালদার, ইন্দ্রানী হালদার এবং ভিকির কথা তো আগেই বললাম।
এই প্রথমবার আমি দেবশঙ্কর হালদারের সঙ্গে কাজ করলাম। ওনার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে৷ একজন অসামান্য অভিনেতা তো বটেই তিনি একজন খুব ভালো মানুষও। অনেককিছু শিখলাম ওনার কাছে। ভবিষতেও ওনার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রইল। আর ইন্দ্রানীদি ভীষণই মার্জিত একজন ব্যক্তি এবং আমাকে নিজের ছোট বোনের মতো ভালোবাসা দিয়েছেন।
ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। সিনেমায় গান গয়েছেন মধুমন্তী বাগচি এবং সৌমাল্য মিত্র৷
এখনও পর্যন্ত ছবিটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের সবার ছবিটি বেশ ভালো লেগেছে। ‘দৃশ্যান্তর’ নিয়ে আমরা সবাই খুব আশাবাদী।
আমার পরের ছবি অভিনেতা সোহমের সঙ্গে, ছবির নাম "গুগলি"। এছাড়াও আর একটা ছবি মুক্তি পাবে নাম "বাগ বন্দির খেলা' পাশাপাশি একটি বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয় করেছি, ছবির নাম "যদি একদিন'।